Thursday, August 03, 2023

রাখী

আমার এক্স, Y, Z কিছুই নেই, শুধু একজন √-1 আছেন।পরবর্তী পোস্টারটি ওয়ার্ক অফ ফিকশন যেটা আজ থেকে পাঁচ বছর আগে লিখেছিলাম।
So,
This is a work of fiction. Names, characters, businesses, places, events, locales, and incidents are either the products of the author’s imagination or used in a fictitious manner. Any resemblance to actual persons, living or dead, or actual events is purely coincidental.



Thursday, July 20, 2023

শুদ্ধি

 কড়ে আঙ্গুল থেকে কনুই-র কোনা, 

ফেনায় ফুটেছে রামধনু।

মনে মনে অম্লমিতি ক্ষারমিতি-র অঙ্ক কষি,

জানি, ভাইরাসের সাথে সাবানের রসায়ন,

জমেনা ঠিকঠাক।


সবান্ টা যেন সেই উল্কাপিন্ড, 

মনে হল, পৃথিবী যেন আমারই মত এক মানবী,

যে শুদ্ধিকরণ আগেও করেছে,

ক্ষুদ্র বৃহৎ সরীসৃপ কে ফসিল বানিয়ে।


মহা বিলুপ্তি ঘটেছে বারবার,


তবুও খাবার মুখে নিয়ে ,

বাসায় ফেরে লাল পিঁপড়ে।

মাকড়সা বানায় জাল।

আর, আমার দেহের অনুজীবিরা,

হয়ত তাদের মতন-ই করে লিখেছে ,

গলকালের মহাপ্রলয়ের ইতিহাস।


অশৌচের আস্তরণটা যেন পুরু হতে থাকে।

সাবান টার দিকে তাকাই আর একবার,

মনে মনে ভাবি এ শুদ্ধিকরণ কার?

Tuesday, July 11, 2023

রাতের খোঁজে

সেই কৃষ্ণপক্ষে বেরিয়ে ছিলেম রাতে,
এক হাতে তামাকের ধোঁয়া, 
স্টিয়ারিং এক হাতে।

সেই স্যাঁতসেঁতে রাস্তায় বেরিয়ে ছিলাম রাতে,
কিছু মনখারাপি গান গেয়ে,
হঠাৎ বৃষ্টির সাথে।

সেই সেদিনের মত বেরিয়ে ছিলাম রাতে,
যেদিন তোমার হাত ধরেছিলাম,
আমার ঘাম ভেজা হাতে।

সেই রাতের খোঁজে বেরিয়ে ছিলাম রাতে,
সোনালী রঙের নতুন আলোয়,
কবিতা এল সাথে।

(১১ জুলাই ২০১৭)

Monday, June 26, 2023

নভোশ্চরের ডায়েরী

কিছুদিন হল ,

চাঁদের কাছে এসেছি-

জগৎ সংসারের মায়াজাল ছিঁড়ে।

চাঁদকে ভালোবেসেছি,

কোটি কোটি মুখের ভিড়ে।


কোন এক প্রতিপদের রাতে,

জোৎস্নায় গা ধুই শরতের শীতে।

ভরা কোটাল শরীরে নামে,

চাঁদের প্রতিফলন কপালের বিন্দু ঘামে।

প্রেম আসে গোপনে 

যেন নিশ্চুপ সাপের চলনে।


তাই কিছুদিন হল,


চাঁদের কাছে এসেছি -

সংসারের অভিকর্ষ উপেক্ষা করে,

মাদুর পেতে বসেছি,

চাঁদেই ঘর গড়ে।


হঠাৎ এক 'চাঁদের রাতে ',

নীল 'পৃথিবী ওঠে' মিশ কালো আঁধারের সাথে।

একলা চাঁদোয়া আকাশ,

না দেয় দেখা কোন তারা,

মাথার উপর মহাকাশ,

ভরা সংসারী, পৃথিবীর উঁকি ছাড়া।

সহস্র জোৎস্না পাংশুটে যেন,

পৃথিবী তোমার সুনীল গোধূলির ছটায়,

হাজার নীল লুদ্ধক যেন,

শরীরে নীল রক্ত ঘোড়ার বেগে ছোটায়।


কিছুদিন হল-

পৃথিবী, তোমার রোদ্দুরে ভিজেছি,

গুমোট তবু মনে,

পৃথিবী তোমাকে খুঁজেছি,

স্মৃতির প্রতি কোনে।


যে গুপ্তধনের খোঁজে,

ভিটে মাটি ছেড়ে ,মহাকাশ দিলেম পাড়ি,

সে তো আমার উঠনেই ছিল,

এক আকাশ তারা ভরা, সংসারী।


মিঠে কথা বল্লেও, 

কথা বোঝে না কো টিয়া,

মিছে চাঁদ প্রেমে ডুবসাঁতার-

আসলে তো ছিল পরকীয়া ।

আনমনা ইলশেগুঁড়ি

 আনমনা, ইলিশেগুঁড়ি,

মেঘের ফন্দি, সূর্য্য চুরি,

স্নানের জল, আন্টার্কটিকা।

ভিজেই গেলাম, ব্যাঙের ছাতা !

পিছলে গেলাম, ওড়না সাদা,

প্রেমিক কোথায়,প্রেমিক কাদা।


একঘেয়ে, ইলশেগুড়ি,

ওই গলি, তোমার বাড়ি।

শহর যেন হিল-স্টেশন,

কেনা হয়নি শীতের লোশন।

ঠোঁট ফাটে, মুখ ফোটে না।

প্রেমের সময়, প্রেম জোটে না।


আনমনা, ইলশেগুড়ি,

মেঘের ফন্দি সূর্য্য চুরি।

গরম চা, হঠাৎ ছ্যাঁকা।

আগুন কোথায়, ভীষণ একা।

আগুন জ্বাল, সূর্য্য চুরি,

আনমনা ইলশেগুঁড়ি।

শহর চুরি

তারা এখন "তারা'-র" মত,তারা অনেক দূরে,

কুয়াশা স্মৃতির লুকোচুরি, মুখ মিছিলের ভিড়ে।

লুকোচুরি খেলা শেষে, হারিয়ে গেছে চোর।

বন্ধু তোরা করলি চুরি, আমার শহর।